বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জের ঘিওরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি ডলি আক্তার (২১) নামে ওই প্রসূতি ১৮ দিনের সন্তান রেখে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত ডলির পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে তার স্বামী উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিন(৪০)।
নিহত ডলি আক্তার (২১) উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের হযরত আলীর বড় মেয়ে।
বুধবার সকালে ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত ডলি আক্তারের বড় ভাই সানি মিয়া বলেন, দুই বছর আগে তার বোনের সাথে একই গ্রামের আবুল প্রধানের ছেলে যুবলীগ নেতা মহির উদ্দিনের (৪০) বিয়ে হয়। বোনের চেয়ে তার বয়স বেশি হওয়ায় প্রথমে পরিবারের লোকজন তার সাথে বিয়ে দিতে রাজি ছিলো না। পরে নানা চাপের মুখে তার সাথে বোনকে বিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা।
কিন্তু সে মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তার বোনকে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ করেন সানি মিয়া। এক সপ্তাহ আগে বোন সন্তান প্রসব করে তাদের বাড়িতে গেলে সেখানে গিয়েও বোনকে মারধর করে মহির উদ্দিন। এর প্রতিবাদ করলে তার সাথেও হাতাহাতি হয়। পরে স্বামীর সাথে বোন শ্বশুড়বাড়িতে চলে আসে।
বুধবার সকালে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি তার বোনের মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় মহির উদ্দিনের মা ও ভাবি তাকে জানান তার বোন আত্মহত্যা করেছে।
সানির অভিযোগ তার বোন ১৮ দিনের ছেলে সন্তান রেখে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের শ্বশুড়বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, মেয়েটি সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে। পরে নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে তারা মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
পরে তাকে সেখান থেকে নামিয়ে আনেন স্বজনরা। সকালে নিহতের স্বামী ঘিওর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও তিনি ফেরত আসেননি।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এসএস